শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে সড়ক দূর্ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর মৃত্যু

সদ্য সহকারী জজ হওয়া এক সহপাঠীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। যদিও সে জজ হতে পারেননি। কিন্তু বেঁচে থাকলে সেও হয়তো পরবর্তী সময়ে জজ কিংবা বিসিএস ক্যাডার হতেন। কিন্তু মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনায় চলে গেলেন না ফেরার দেশে।

এই অদম্য মেধাবীর নাম জাহাঙ্গীর আলম (২৮)। শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার কলসপাড় ইউনিয়নের পিপলশ্বর গ্রামের বাসিন্দা। লেখাপড়া করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে।

জাহাঙ্গীররের পরিবার ও সহপাঠীদের সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা যোগে নালিতাবাড়ী থেকে বালুঘাটা বাজারে যাচ্ছিলেন জাহাঙ্গীর আলম। এসময় অটোরিকশাটি উল্টে গেলে জাহাঙ্গীর গুরুতর আহত হন।

স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে শেরপুর সদর হাসপাতালে নেয়৷ সেখান থেকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হলে জাহাঙ্গীরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে তিনি মারা যান।

তার কয়েকজন সহপাঠী জানায়, জাহাঙ্গীর আলম একজন অদম্য মেধাবী শিক্ষার্থী। চরম দারিদ্রতা মধ্য থেকেও সে লেখাপড়া করেছেন। তার বাবা একজন দিনমজুর ছিলেন। সেও কয়েক মাস আগে মারা যান।

জাহাঙ্গীর ২০১০ সালে উত্তর নাকশী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মানবিক শাখায় জিপিএ-৫ পেয়ে এসএসসি এবং ২০১২ সালে সরকারি নাজমুল স্মৃতি কলেজ থেকে মানবিক শাখায় জিপিএ- ৫ পেয়ে এইচএসসি পাস করেন।পরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিভাগে অনার্স-মাস্টার্স সম্পন্ন করেন।

তার স্বপ্ন ছিল জজ কিংবা বিসিএস ক্যাডার হওয়া। কিন্তু নির্মম বাস্তবতার কাছে হার মেনেই চলে যেতে হলো না ফেরার দেশে।