কুয়াকাটায় নির্মাণাধীন সেতু ভেঙ্গে পড়লো খালে

ভেঙে পড়েছে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা মিশ্রীপাড়া সড়কের নির্মানাধীন সেতু।

রবিবার ভোর পাঁচটার দিকে বিকট শব্দে ভেঙ্গে পড়ে সেতুটি। ২০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৫.৫ মিটার প্রস্থের সেতটি দুই গার্ডারের মধ্যখান দিয়ে ভেঙ্গে যায়।

গার্ডার বসানোর সময় হাইড্রোলিক জ্যাক বিকল হয়ে যাওয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে এমন দাবী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের।

তবে এতে কোন হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও সেতুর নিন্মমানের র্নিমান কাজ নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্ন।

পর্যটন নগরী কুয়াকাটা পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের দোভাষী পাড়া খালের উপর নির্মিত এ সেতুটি দূর্ঘটনার পর পরই পালিয়ে যায় নির্মাণ শ্রমিকরা।

জানা গেছে, ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে ২ কোটি ২৬ লাখ ১৫ হাজার ৮শ’৮৩ টাকা ব্যয়ে সরকারের (জিওবি’র) অর্থায়নে কুয়াকাটা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের আওতায় পৌরসভার দরপত্রের মাধ্যমে কাজটি চলমান রয়েছে। ইতোমধ্যে সেতুটির প্রায় ৮০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছিলো।
২৬ জুন ২০২১ এর কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা ভেঙ্গে পরে।

এদিকে, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে- এমনটাই জানায় কুয়াকাটা পৌর কর্তৃপক্ষ।

তথ্যানুযায়ী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মোসার্স সৈয়দ মো. সোহেল এ্যান্ড দীপ এন্টারপ্রাইজের নাম থাকলেও মামুন নামে এক ঠিকাদারের কাছে বিক্রি করে দেয়া হয়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, সেতুটির নির্মাণ কাজের শুরু থেকেই নিন্মমানের নির্মাণ সামগ্রী, সিমেন্ট কম ব্যবহারসহ ওয়ার্ক অর্ডার অনুযায়ী কাজ না করার কারণে এমনটি হয়েছে। নির্মাণ কাজ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে স্থানীয়রা প্রকৌশলী ও পৌর মেয়রের কাছে অভিযোগ করে আসলেও তারা এতে কর্ণপাত করেনি।

এ বিষয়ে কুয়াকাটা পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী মো. মিজানুজ্জামান জানান, ‘তিনি গত ২১ জুন ২০২১ কুয়াকাটা পৌরসভায় যোগদান করেছেন। সেতুর নির্মাণ কাজের বিষয়ে তার কিছুই জানা নেই। কি কারণে সেতুটি ভেঙ্গে পরেছে তা তদন্ত ছাড়া বলা যাচ্ছে না।’

এ বিষয়ে একটি তদন্ত টিম গঠন করা হবে বলে জানান তিনি।

কুয়াকাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদার বলেন, ‘কুয়াকাটা উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সেতুর নির্মাণ কাজ চলমান ছিল। নির্মাণ কাজ শেষ হবার আগেই কেন সেতুটি ভেঙ্গে পরেছে তা বলতে পারবেন এ প্রকল্পের প্রকৌশলীরা। তাদেরকে এ বিষয়ে জবাবদিহিতার জন্য বলা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।’