চুয়াডাঙ্গায় সপ্তাহের ব্যবধানে ২বার ডাকাতি

যে কাজে অবহেলা আছে। সে কাজেই বিরূপ প্রভাব পড়বে এটাই বাস্তব। তারই প্রতিফলন ঘটেছে চুয়াডাঙ্গা পুলিশের। যার কারণে চুয়াডাঙ্গায় চুরি ছিনতাই ডাকাতি সব কিছুই বেড়ে গেছে। কিন্তু সব চুরি ছিনতাই ডাকাতির ঘটনা বেশির ভাগই বিভিন্ন কারণে প্রকাশ পায় না।

এছাড়াও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা কম থাকায় এক সপ্তাহের ব্যবধানে চুয়াডাঙ্গায় ২ বার ডাকাতির ঘটনায় জেলাজুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জ—নাগদাহ সড়কে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।

তবে এ বিষয়ে পুলিশকে জানালে তাদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে লোক মারফত শুনেছি বা সাংবাদিকরা ফোন করলে বলে আপনার কাছ থেকেই শুনলাম। আবার জিজ্ঞাসা করলে তারা ডাকাতির বিষয় জানেন না বলে জানিয়ে দিচ্ছে। তাহলে তাদের কাছ থেকে নিরাপত্তা আশা করা জনগণের জন্য এখন নিরাশা হয়ে উঠেছে। এতে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে যাদের ডিউটি জনগণের নিরাপত্তা দেয়া। কিন্তু তা হচ্ছে না। আবার এ দায়ও কোনোভাবেই এড়াতে পারে না চুয়াডাঙ্গা পুলিশ বাহিনী। এছাড়া এটা নিজেদের দায়িত্ব অপারগতা প্রকাশের অন্তরায়।
তারই অংশ হিসেবে চলমান এই ডাকাতির ঘটনায় বুধবার (৭ জুন) রাত ৮টার দিকে ছোট পুটিমারী গড়চাপড়া এলাকায় ডাকাত দলের ৬ সদস্য লাল গামছা পরিহিত অবস্থায় ডাকাতিরা তাণ্ডব চালায়।

সেসময় পাখিভ্যানের চার যাত্রীর কাছ থেকে নগদ ২৭ হাজার টাকা, ২ জোড়া স্বর্ণের এক ভরি চেইন লুট করে নিয়ে যায় ডাকাত সদস্যরা। এর আগে গত বুধবার (৩১ মে) দিনগত রাতে আলমডাঙ্গার থানা এলাকার বন্ডবিল—বারাদি সড়কে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। সেসময় হাফপ্যান্ট পরিহিত ১০—১২ জনের একটি ডাকাত দল পাথচারীদের কাছ থেকে নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নেয়। কিন্তু সে ঘটনার কোন কূল—কিনারা এখনো খুঁজে পায়নি পুলিশ। যা আইনশৃঙ্খলার বড় অবনতি হিসেবে ধরা খাচ্ছে চুয়াডাঙ্গাবাসীর কাছে।

ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে জানা গেছে, গতকাল রাত ৯টার দিকে মুন্সিগঞ্জ—নাগদাহ সড়কের ছোট পুটিমারী গড়চাপড়া এলাকায় ৬জন ব্যক্তি বাঁশ বাগানের মধ্য থেকে হাফপ্যান্ট পরা মুখে লাল গামছা পরিহিত সড়ক বেরিকেড দেয়। সেসময় পাইকপাড়ার ঘোলদাড়ি গ্রামের জহুরুল ইসলামের পাখিভ্যান গতিরোধ করে ডাকাত দল। সেসময় দেশীয় অস্ত্রের ঝলকানি দেখিয়ে পাখিভ্যানে থাকা ৪ জন মহিলা যাত্রী ও ৩/৪টি মোটরসাইকেল আরোহীর কাছ থেকে নগদ ২৭ হাজার টাকা ও ২ জোড়া স্বর্ণের চেইন (১ ভরি ওজনের), বিদেশী লাইট লুট করে নেয়ার পর গ্রামবাসী ছুটে আসলে ডাকাত সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় তারা।

আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ জানান, বিষয়টি তিনি লোক মারফত শুনেছেন। ঘটনার বিস্তারিত জানতে খেঁাজ নেয়া হচ্ছে।