চুয়াডাঙ্গায় নারীর কোমর থেকে কোটি টাকার স্বর্ণেরবার জব্দ

সরকারী প্রতিষ্ঠানেরই কর্মকর্তাদের যেন দায়িত্ব নেই। অফিস আদালত পুলিশ বিজিবিসহ কোনো সংস্থার অর্পিত দায়িত্ব পালনও ঠিকভাবে করা হয় না। যার কারণে বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজ করতে বার বার সাহস পায় অপরাধীরা।

এতে করে ব্যর্থতার পরিচয় বহন করে সংশ্লিষ্ট সংস্থার। তেমনীভাবে সীমান্ত বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের সদস্যদের অর্পিত দায়িত্ব পালন করা নিয়েও আলোচনার কেন্দ্রবিদু হয়ে রয়েছে সীমান্ত রক্ষাকারী বিজিবি। তারই আলোকে দেড় কেজি ওজনের ১১টি স্বর্ণের বারসহ উদ্ধারসহ আটক করা হয়েছে তাছলিমা খাতুনকে।

রবিবার (৩ মার্চ) চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদার সীমান্তবর্তী এলাকা ছয়ঘড়িয়া গ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটক তাছলিমা খাতুন দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনার কামাড়পাড়া এলাকার রেজাউল করিমের মেয়ে। চুয়াডাঙ্গা ৬ বিজিবি অধিনায়ক সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানান।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, রোববার সকালে চুয়াডাঙ্গা ৬ বিজিবি অধীনে সুলতানপুর বিওপি কমান্ডারের নেতৃত্বে ছয়ঘড়িয়া গ্রামে অভিযান পরিচালনা করা হয়।

ব্যাটারিচালিত একটি ইজিবাইকে করে কয়েকজন যাত্রী ছয়ঘড়িয়া গ্রামের মধ্যদিয়ে সীমান্ত অভিমুখে যাওয়ার চেষ্টা করে। বিজিবি সদস্যরা ইজিবাইককে দাঁড় করিয়ে তল্লাশি করা হলে তাছলিমা খাতুন নামের ওই নারী সন্দেহজনক আচরণ করেন।

সেসময় তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তার শরীরের কোমর থেকে এক কেজি ৩২০ গ্রাম ওজনের ১১টি স্বর্ণেরবার বিজিবি সদস্যদের সামনে ফেলে দেয়। পরে তা জব্দ করা হয়।

চুয়াডাঙ্গা-৬ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান জানান, জব্দকৃত স্বর্ণের বারগুলো আনুমানিক বাজার মূল্য ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
এছাড়া আটক সোনারবারগুলো চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারি অফিসে জমা দেয়া হয়েছে।

আটক নারী চোরাকারবারিকে দর্শনা থানায় হস্তান্তরসহ বিজিবির পক্ষ থেকে একটি মামলা করা হয়েছে।