চুয়াডাঙ্গার সাতগাড়িতে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মাদকব্যবসায়ীরা হাসপাতালে ভর্তি

চুয়াডাঙ্গায় মাদকের অভয়ারণ্য যেনো যাচ্ছেই না। অথচ সরকার বারবারই নিশ্চিত করছে মাদকের জিরো টলারেন্স করবে। তাতে কোনো ফলও হয়নি সরকারের প্রতিশ্রæতি। সেজন্য সমাজে দিন দিন মাদকের অভয়ারণ্য ছিটিয়ে রয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। এরই অংশহিসেবে মাদকব্যবসায়ীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

এ ঘটনায় উভয়পক্ষের ৩জনই জখম হয়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

শনিবার (৩০ মার্চ) দুপুরের দিকে পৌর এলাকার সাতগাড়ি গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন, সাতগাড়ি গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে নাঈম (২৫) ও নয়ন (২৩), এবং একই গ্রামের মনিরের ছেলে বিপ্লব হোসেন (২১)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শহরের সাতগাড়িতে এক মাদকব্যবসায়ী বিপ্লবের বাড়ির পাশের জমিতে ভুট্টা ক্ষেতে গাঁজা লুকিয়ে রাখা ছিল। সেখান থেকে গাঁজা চুরি হয়ে যায়। এ বিষয়ে নাঈমকে সন্দেহ করে বিপ্লব। এ নিয়ে দু’পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে মাদকব্যবসায়ীরা।

এতে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে রক্তাক্ত জখম হন নাঈম তার ছোট ভাই নয়ন ও বিপ্লব। পরে স্থানীয়রা তিনজনকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ওয়াহেদ মাহমুদ রবিন বলেন, তিনজনের শরীরের বিভিন্নস্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে জখম হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইন্দ্রজিত রায় বলেন, প্রাথমিকভাবে জেনেছি মাদক নিয়ে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।