চুয়াডাঙ্গায় শিশুকন্যাকে গলা কেটে হত্যা

সমাজের অবক্ষয় মনে পড়ে তখন। যখন প্রতিনিয়ত বিভিন্ন অপরাধের পাশাপাশি ন্যাক্কারজনক ও হৃদয়বিদারক ঘটনার জন্ম হয়। কিন্তু সেইসব অপরাধ করা মানুষগুলোকে শাস্তির আওতায় আনার পর তারা শাস্তিকেও হার মানাচ্ছে। করছে একইরকমের বিভিন্ন ধরনের অপরাধ। আর এ থেকে পরিত্রাণ পেতে সমাজের অসচেতন মানুষকে অব্যহতভাবে সচেতন করে গড়ে তোলা। কিন্তু দায়িত্বের সাথে এমন ব্যবস্থা বাস্তবায়ন ব্যর্থতায় একই রকম ঘটনা বিভিন্ন জায়গায় ঘটছে।

তেমনীভাবে চুয়াডাঙ্গায় ১২ বছরের এক শিশুকন্যাকে গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) জীবননগর উপজেলার বিকেলে গোয়ালপাড়া গ্রামের হাড়িভাঙ্গা মাঠ থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে পুলিশের ধারণা তাঁকে ধর্ষণ শেষে গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে।

এমন খবর পেয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) জাকিয়া সুলতানা এবং জীবননগর থানার ওসি এসএম জাবীদ হাসান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। নিহত শিশু মরিয়ম খানম একই গ্রামের ইকবাল হোসেনের মেয়ে।

ঘটনার বর্ণনা সম্পর্কে তাঁর বান্ধবীদের বরাত দিয়ে শিশু মরিয়মের পিতা দিনমজুর ইকবাল হোসেন জানান, বিকেলে মরিয়ম খানম ও তার চার বান্ধবী মিলে বাড়ির পার্শ্ববর্তী হাড়িভাঙ্গা মাঠে ছাগলের জন্য ঘাস আনতে যায়। সেসময় মরিয়মকে ঘাস দেয়ার লোভ দেখিয়ে ফুঁসলিয়ে এক অপরিচিত লোক পার্শ্ববর্তী ভুট্টাক্ষেতে নিয়ে যায়।

পরে স্থানীয় লোকজন সন্ধ্যার দিকে মরিয়মের গলাকাটা লাশ ভুট্টাক্ষেতে দেখতে পেয়ে জীবননগর থানা পুলিশে খবর দেয়।
তৎপর জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসএম জাবীদ সেখানে যান এবং ঘটনার বর্ণনা সম্পর্কে তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ধর্ষণ শেষে শিশু মরিয়মকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। তবে হত্যাকারীকে দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওয়ায় এনে তাকে কঠোর শাস্তি দেয়া হবে। অপরাধীকে ধরতে মাঠে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।