৭টি বিয়ের পর পুলিশের কব্জায় চুয়াডাঙ্গার ইমন

সচেতনতার যুগেও মানুষকে হার মানাচ্ছে সমাজের কিছু প্রতারকচক্র। যারা বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে মানবপাচার, ধর্ষণসহ নানা ঘটনার জন্ম দিচ্ছে সেসব অসাধু ব্যক্তি। যাদের প্ররোচনায় পড়ে অনেকেই সর্বশান্ত হচ্ছে।

তেমনীভাবে বিভিন্ন জেলার নারীকে শাহারিয়ার নাফিজ ইমন ওরফে বুলবুল (৩৫) তার ফাঁদে ফেলে বিয়ের পিঁড়িতে বসিয়েছে অনেক নারীকে। হাতিয়েছেন কোটি কোটি টাকাও। প্রতারণার এমন ঘটনায় বারবার নিজের তথ্য গোপন করে একজন সরকারী চাকরীজীবী পরিচয় দিতেন তিনি। একপর্যায় মানবপাচার, ধর্ষণ ও প্রতারণার মামলায় ফেঁসে যান। অবশেষে এসব মামলার ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আসামির তথ্য জানান, রাজবাড়ি জেলার পুলিশ সুপার জি এম আবুল কালাম আজাদ।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে নাটোরের লালপুর উপজেলার হাজী মার্কেট এলাকা থেকে পুলিশ ও র‌্যাব—৫ যৌথ অভিযান চালালে গ্রেপ্তার হয় প্রতারক শাহারিয়ার নাফিজ ইমন ওরফে বুলবুল।

গ্রেপ্তারকৃত বুলবুল চুয়াডাঙ্গার দামুরহুদা উপজেলার বড় দুধপাতিলা গ্রামের মৃত আয়নাল হকের ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার বলেন, আসামি আবুল কালাম আজাদ ওরফে শাহারিয়ার নাফিজ ইমন ওরফে বুলবুল মিথ্যা পরিচয়ে নিজেকে সরকারি চাকরিজীবী বলে বিভিন্ন জেলার নারীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলতেন। এ পর্যন্ত সে ৬টি বিয়ে করেছেন। পরে তার সব শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়—স্বজনদের সরকারি চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিতেন। আসামি শাহরিয়ার নাফিজ ইমন ওরফে বুলবুল নিজেকে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীর সরকারি অডিট অফিসার রাজবাড়ী, ফরিদপুর, যশোর, পাবনা, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন উপজেলার সরকারি অফিসের দায়িত্বে আছেন বলে পরিচয় দিতেন।

চুয়াডাঙ্গায় দুইটি মেহেরপুরে দুইটি, ঝিনাইদহে দুইটি এবং সবশেষ রাজবাড়িতে একটি বিয়ে করেছেন। স¤প্রতি তিনি এ পরিচয়ে রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার ১৭ বছরের এক কিশোরীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। একপর্যায়ে আসামি ওই কিশোরীকে প্রতারণামূলক বিয়ে করে ধর্ষণ করে।

পরে গত ২৭ আগস্ট তাকে ফরিদপুরে যৌনপল্লীতে বিক্রির চেষ্টা করে। সেইসঙ্গে ভুক্তভোগীর বাড়ি থেকে নগদ ৮ লাখ টাকা ও ৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা মূল্যের স্বর্ণালঙ্কার চুরি করে নিয়ে যায়।