চুয়াডাঙ্গায় কাঁদলেন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের স্বতন্ত্রপ্রার্থী

বর্তমান সমাজে যারা প্রকৃতপক্ষে রাজনীতির সঙ্গে অতঃপ্রতভাবে জড়িয়ে রয়েছে। সেসকল বেশিরভাগ নেতাকর্মীরা দলের কাছে সুনাম বাড়াতে ব্যস্ত সময় পার করে। কিন্তু জনসেবা করা যে প্রধান কাজ, তা প্রমাণ করাও মুশকিল।

এরমধ্যেই সমাজে কিছু মানুষ রয়েছে যারা রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নয়। অথচ জনসেবা করার পুরোপুরি ইচ্ছা রয়েছে।
এদিকে, জাহাঙ্গীর আলম পেশায় একজন পল্লী পশু চিকিৎসক। যা এ মহত পেশায় জড়িয়ে রয়েছেন দীর্ঘদিন ধরে। তিনি নিজের কর্মের পাশাপাশি সাধারণ ভোটারদের জন্য নিজ উদ্যোগেই কাজ করে আসছেন বলেও তিনি জানিয়েছেন। কিন্তু জনগণের জন্য সঠিক সেবা দিতে হলে সরকারী সহায়তা ছাড়া সম্ভবও নয়। আর সে আলোকে এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তিনি চুয়াডাঙ্গা—২ আসন থেকে মনোনয়ন ফরম উত্তোলন করেছিলেন।

কিন্তু গতকাল (৩০ নভেম্বর) বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়ন জমা দেয়ার ছিল শেষ দিন। তবে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে মনোনয়ন পত্রটি জমা দিতে গেলে তার মনোনয়ন পত্রটি গ্রহণ করা হয়নি। এমন মহত কাজের স্বপ্ন ভেঙে যাওয়ায় আবেগে আপ্লুত হয়ে ঘটনাস্থলেই কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম।

সেসময় তিনি বলেন, আমার সাথে কোনো কর্মী সমর্থক নেই, একাই ভোট করে বেড়াই। আজ আমার লোকজন না থাকায় সবকিছু একাই ম্যানেজ করেছি। যার জন্য আমার সময় লেগেছে বেশি। সেজন্য মনোনয়ন জমা দিতে দেরি হওয়ায়। ফরম গ্রহণ করেন রিটার্ণিং কর্মকর্তা ড. কিসিঞ্জার চাকমা। তারজন্য আরও একদিন সময় চেয়েছেন তিনি। অন্যথায় আইনের দারস্থ হবেন বলেও জানিয়েছেন স্বতন্ত্রপ্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম।

তিনি আরও বলেন, ভোটের প্রস্তুতি ভালভাবেই নিচ্ছিলাম। কিন্তু জনসেবা করার স্বপ্ন পূরণের আগেই ভেঙে গেলো বলেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।

পল্লী পশু চিকিৎসক জাহাঙ্গীর আলম, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার ছোটদুধপাতিলা গ্রামে।
এ বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা ড. কিসিঞ্জার চাকমা বলেন, নির্ধারিত বিকেল ৪টার পর প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিতে আসায় নেয়া সম্ভব হয়নি। তিনি আরও বলেন, আইনের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।