চুয়াডাঙ্গায় আগুনে ৫লাখ টাকাসহ অর্ধকোটি টাকার মালামাল পুড়ে ছাই

চুয়াডাঙ্গায় একটি মুদি দোকানে আগুন লাগার ঘটনায় নগদ ৫ লক্ষ টাকাসহ প্রায় অর্ধকোটি টাকার মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

রোববার (২৫ ডিসেম্বর) রাতে আলীপুর রাখাল শাহ মার্কেটে এ ভয়াবহ আগুনের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় থানায় ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ী সাকিল হোসেন থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

জানা গেছে, জেলার জীবননগরের বাঁকা ইউনিয়নের আলীপুর গ্রামের সাকিল হোসেন (২২) নিজ বাড়ী সংলগ্ন রাখাল শাহ মার্কেটে সাকিল স্টোর নামে একটি মুদি দোকান রয়েছে। সেখানে দীর্ঘদিন যাবৎ ব্যবসা পরিচালণা করে আসিছলেন। দোকানদার সাকিল হোসেন অন্যদিনের মত শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে নিজ বাড়ীতে চলে যান। পরদিন রোববার (২৫ ডিসেম্বর) ভোর রাতে পথচারীরা দেখতে দোকানে আগুন এবং প্রচণ্ড ধোঁয়া বের হতে দেখে। সেসময় পথচারীরা ব্যবসায়ী সাকিলসহ পরিবারের সদস্যদের খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে এসে আগুনের ভয়াবহ আগুন দেখতে পান। পরে জীবননগর ফায়ার সার্ভিসের কর্মিরা সেখানে উপস্থিত হয়ে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় আগুন নেভানোর চেষ্টা করা হলেও ততক্ষণে টাকাসহ মুদি দোকানের মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এ আগুনের ঘটনায় বিল্ডিং দোকান ঘরে ফাটল দেখা দিয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী সাকিল হোসেন জানান, আমি প্রতিদিনের মত শনিবার রাত সাড়ে দশটার দিকে দোকান বন্ধ করে বাড়ীতে চলে যাই। রোববার ভোর রাতে পথচারীরা আমাকে এসে বলে আপনার দোকানে আগুন লেগেছ। পরে ফায়ার সার্ভিস কর্মিরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করেন। কিন্তু তাতে কোন লাভ হয়নি। ততক্ষণে আগুনে নগদ ৫লাখ টাকাসহ ৪০-৫০ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ভয়াবহ এ আগুনের ঘটনায় আমরা নিঃস্ব হয়ে গেছি। ব্যবসা চালু করার মত আমাদের আর কোন পুঁজি নেই।

তিনি আরও বলেন, রেজাউল গাজীর ছেলে শুভ’র (২০) নিকট আমার পাওনা টাকা চাওয়া নিয়ে শনিবার রাতে বিরোধ হয়। পরে আর রোববার ভোর রাতে দোকানের এ সর্বনাশ দেখতে পাই। আমার বিশ্বাস শুভ শত্রুতা করতেই আমার দোকান ঘরে রাতের আঁধারে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে নিঃস্ব করেছে।

জীবননগর থানার ফায়ার সার্ভিস স্টেশন পরিদর্শক খালিদ হুসাইন বলেন, দোকান ঘরটি সম্পূর্ণরুপে পুড়ে গিয়ে নগদ টাকাসহ সমস্ত মালামাল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনে সূত্রপাত ঘটেছে। দোকান ঘরটির নিরাপত্তা ব্যবস্থা যা,তাতে করে বাইরে থেকে আগুন দেয়া সম্ভব নয়। তদন্তে আপাতত শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগতে পারে প্রাথমিক ধারাণা করা হচ্ছে।

জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল খালেক বলেন, আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। দোকানে থাকা টাকাসহ সমস্ত মালাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার শুভ নামের একজনকে ঘটনার সাথে জড়িত বলে সন্দেহ করছে। তবে আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখবো।