পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পাওনাদারকে ফাঁসাতে গিয়ে নিজেই ফেঁসে গেলেন!

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পাওনাদারকে ফাঁসাতে গিয়ে অপহরণের নাটক সাজিয়ে ফেঁসে গেছেন আত্মগোপনকারী মো.জয়নাল আবেদীন ও পরামর্শদাতা ইউপি সদস্য (সাবেক) মো. মোস্তফা কামাল।

পুলিশের তৎপরতায় তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে আত্মগোপনকারীকে উদ্ধারের পর জিজ্ঞাসাবাদে বেড়িয়ে আসে থলের বিড়াল।

উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের এ ঘটনায় বর্তমানে দুজনকে বৃহস্পতিবার বিকালে এক ইউপি সদস্যের জিম্মায় রাখা হয়েছে।

এ ঘটনায় কলাপাড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে বলে জনিয়েছে পুলিশ।

কলাপাড়া থানার ওসি (তদন্ত) মো.আসাদুর রহমান জানান, উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের আমিরাবাদ গ্রামের বাসীন্দা মো.জয়নাল কে অপহরণ করেছে একই গ্রামের বাসীন্দা মো.রুজেল সহ তার সহযোগীরা। এমন অভিযোগ করে মোস্তফা কামালের পরামর্শে জয়নালের স্ত্রী মোসা.সোনিয়া বেগম ৩০ মার্চ দুপুরে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে পুলিশে অবহিত করেন। এর পরেই পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে জয়নালের অবস্থান সনাক্ত করে পটুয়াখালীর দুমকি পাগলার মোড় থেকে ৩১ মার্চ দুপুরে উদ্ধার করেন। তার দেয়া তথ্যমতে ঘটনার সাথে জড়িত মোস্তফাকে থানায় নিয়ে আসে। এসময় পাওনাদার রুজেলকে হয়রানি করার উদ্দেশ্যে দুজনে মিলে পরিকল্পিত ভাবে অপহরণের নাটক সাজানো হয়েছে বলে সত্যতা স্বীকার করেন।

এ ব্যাপারে রুজেল জানান, গত দুদিন আমার পরিবারে কারো চোখে ঘুম ছিলো না। আমার ছোট ভাই বিদেশ থাকে তাকেও এ ঘটনায় জড়িত করা হয়েছে। ঘটনার সময় আমি ঢাকায় ছিলাম। শুধুমাত্র পাওনা ৪৬ হাজার টাকা না দিয়ে উল্টো অর্থ হাতানোর জন্য এমন জঘন্য নাটক সাজানো হয়েছিলো।

নাটকের শাস্তি চেয়ে রুজেলের পিতা আবদুল আযিয বলেন, আমরা নির্দোষ হয়েও গত দুদিনে অন্তত বিশ হাজার টাকার অর্থদন্ড দিতে হয়েছে। রাতে ভয়ে বাড়িতে ঘুমাতে পারিনি। সমাজে আর কারো সাথে যেনো এধরনের ঘটনা না ঘটে। প্রতিবেশি আবুল কালামের অভিযোগ আমার ছেলেকেও সন্দেহের তালিকায় রাখা হয়েছিলো। আমি এর বিচার চাই।

কলাপাড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহম্মদ আলী জানান, প্রযুক্তি মাধ্যমে অপহরণ নাটকের আত্নগোপনকারীকে উদ্ধার করে তার সহযোগীকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে জিম্মায় রাখা হয়েছে।

তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হতে পারে বলে জানান তিনি।