সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা সদর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার ধর্মপাশা সদর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ধর্মপাশা সদর ইউনিয়নের দুধবহর গ্রামের আব্দুস সালাম সুবিচার চেয়ে গত কাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগে জানা যায়, ভুক্তভোগী অভিযোগকারী আব্দুস সালাম ধর্মপাশা উপজেলার সদর ইউনিয়নের দুধবহর গ্রামের বাসিন্দা। তার বসত বাড়ির সংলগ্ন সরকারি খাস পতিত জায়গা রয়েছে।

বাড়ির সামনের সীমানা ঘেঁষে খাস জায়গায় একটি অস্বাস্থ্যকর খোলা টয়লেট স্থাপন করে পাশের বাসিন্দা ইদ্রিস আলী।

টয়লেট থেকে ছড়ানো দুর্গন্ধে বসবাস করা কষ্টকর হয়ে পড়ে আব্দুস সালামের পরিবারের লোকজন সহ আশেপাশের বাসিন্দাদের।

এরকম অবস্থায় টয়লেটটি সরিয়ে খাস জায়গাটুকু সরকারের হেফাজতে নেয়ার জন্য গত বছরের আগষ্ট মাসে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর একটি লিখিত আবেদন করা হয়।

আবেদনের ভিত্তিতে সরেজমিনে গিয়ে তদন্ত করার জন্য ধর্মপাশা সদর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন সহকারী কমিশনার (ভূমি)।

সরেজমিনে তদন্তকালে স্থাপিত টয়লেট দৃশ্যৃমান ছিল। কিন্তু সঠিক রিপোর্ট দিতে গড়িমসি করেন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা। সঠিক তদন্ত রিপোর্ট দেয়ার জন্য এক পর্যায়ে অভিযোগকারীর নিকট থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা ঘুষ গ্রহণ করে ভূমি সহকারী কর্মকর্তা। এরপর থেকে রিপোর্ট দিতে আরো তালবাহানা শুরু করেন। বিভিন্ন পর্যায়ে মোট ১১ হাজার ৫০০ টাকা হাতিয়ে নেন ঘুষখোর ভূমি সহকারী কর্মকর্তা। এর মধ্যে অভিযোগকারী এসিল্যান্ড অফিস ও তহশিল অফিসে কয়েক মাস যোগাযোগ করার পরও টয়লেট সরানোর কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

অভিযোগকারী ভুক্তভোগী আব্দুস সালাম বলেন, তহশিলদার আমার নিকট থেকে ১১ হাজার ৫০০ টাকা নিয়েছেন কিন্তু টয়লেট সরানোর কোন ব্যবস্থা হয়নি।
এ ব্যাপারে ধর্মপাশা সদর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা সেলিম আহমেদ এর নিকট যোগাযোগ করা হলে, হয়রানি করা ও ঘুষ গ্রহণের বিষয়টি চেপে যান। আবেদনের কপি হাতে না থাকায় রিপোর্ট দিতে বিলম্ব হয়েছে বলে জানান।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শীতেষ চন্দ্র সরকার বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।##