চুয়াডাঙ্গায় টিসিবির পণ্য কিনতে গিয়ে জুতাপেটার অভিযোগ

ফ্যামিলি কার্ড ছাড়াও গরীব অসহায়রা এনআইডি কার্ড দেখালে টিসিবি পণ্য কিনতে পারবে বলে আগে থেকেই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ছিল। তবে এনআইডি ছাড়াই খেদের আলী (৫০) নামের এক ব্যক্তি টিসিবি পণ্য কিনতে এসে জুতাপেটার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে চেয়ারম্যান শুকুর আলীর বিরুদ্ধে।

শুকুর আলী চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।

এ ঘটনায় খেদের আলীর ছেলে সুজন আলী বাদী হয়ে তিতুদহ ইউপি চেয়ারম্যান শুকুর আলীর বিরুদ্ধে দর্শনা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার (২১ মার্চ) তিতুদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে টিসিবির পণ্য বিক্রি করার সময় খেদের আলীর ফ্যামিলি কার্ড না থাকায় চেয়ারম্যান শুকুর আলীর নিকট গিয়ে তেল কিনতে চান। এতে চেয়ারম্যান ক্ষিপ্ত হয়ে খেদের আলীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। একপর্যায়ে নিজের পায়ের জুতা খুলে তাকে মারধর করেন বলে ভুক্তভোগী অভিযোগ করেছেন।

এ বিষয়ে বৃদ্ধ খেদের আলী আরও বলেন, গত ইউপি নির্বাচনের সময় স্বতন্ত্র প্রার্থী মিজানুর রহমান টিপুর পক্ষে কাজ করায় তখন থেকেই চেয়ারম্যান শুকুর আলী আমার ওপর ক্ষিপ্ত ছিল। আমার কোনো টিসিবির কার্ড ছিল না। আমি ওইদিন (মঙ্গলবার) সকালে স্কুলের মাঠে চেয়ারম্যানের নিকট গিয়ে টিসিবির তেল কেনার কথা বলতে গেলে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। একপর্যায়ে জনসম্মুখে নিজের জুতা খুলে আমাকে মারধর করে আহত করেন।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের তথ্যমতে, গত মঙ্গলবার (২১ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বৃদ্ধ খেদের আলী মারধরের কারণে জরুরি বিভাগ থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। তবে চিকিৎসার বিষয়ে জানতে দায়িত্বরত চিকিৎসক মোস্তাফিজুর রহমানের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান শুকুর আলী বলেন, খেদের আলী ফ্যামিলি কার্ড ছাড়াই টিসিবির পণ্য নিতে আসে। আমি দিতে অসম্মতি জানালে আমার সঙ্গে সে তর্কবিতর্ক শুরু করে দেয়। খেদের আলী আমাকে গালিগালাজ শুরু করলে আমি তাকে ‘জুতা দিয়ে মারার দরকার’ বলে বলেছি কিন্তু তাকে মারধর করিনি। প্রতিপক্ষরা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে এই মিথ্যা অভিযোগ ছড়াচ্ছে। কার্ড ছাড়া পণ্য নেয়া যায় না জানা সত্ত্বেও তিনি টিসিবির পণ্য কিনতে আসবে কেন?
থানায় অভিযোগের বিষয়ে চেয়ারম্যান শুকুর আলী বলেন, সরকারি কাজে বাধা দেয়ার জন্য আমিও থানায় অভিযোগ দিয়েছি।

দর্শনা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এএইচএম লুৎফুল কবীর বলেন, এ ঘটনায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রমাণিত হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।