পঞ্চগড়ে জেলা পরিষদ প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার সদর ইউনিয়নের কান্তমনি এলাকার ঈদগাহ মাঠ সংস্কারের জন্য বরাদ্দকৃত জেলা পরিষদ প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।

২০-২১ অর্থ বছরের এডিপি সাধারণ খাতের বাস্তবায়নে জেলা পরিষদ প্রকল্পের বরাদ্দকৃত অর্থ ২ লক্ষ টাকা কান্তমনি ঈদগাহ মাঠ সংস্কারের অর্থ আতœসাতের অভিযোগ প্রজেক্ট সভাপতি নাসের মন্ডল হাট সালেহীয়া দাখিল মাদ্রাসার কম্পিউটার শিক্ষক জাহাঙ্গির আলমের বিরুদ্ধে।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নের কান্তমনি এলাকার ঈদগাহ মাঠের সংস্কার কাজের জন্য ২০-২১ অর্থ বছরের এডিপি সাধারণ খাত জেলা পরিষদ থেকে প্রকল্প বাস্তবায়নের ২ লক্ষ টাকার বরাদ্দের মধ্যে ৩ শত ফিট কাজের ৩০ হাজার টাকা কবর স্থানের দেওয়াল নির্মাণ কাজে ব্যয় দৃশ্যমান রয়েছে।

এদিকে অভিযোগে স্থানীয় সাবেক কমিটির কোষাদক্ষ ইউনুস আলী তিনি জানান, ঈদগাহ মাঠ পূর্বের কমিটির মাধ্যমে এলাকায় স্থানীয়দের কাজ থেকে চাঁদা তুলে ঈদগাহ মাঠের এক তৃতীয়াংশ দেওয়াল নির্মাণ কাজ সম্পূর্ন করা হয়েছিল। পরবর্তিত্বে ২০-২১ অর্থ বছরে নতুন কমিটি জেলা পরিষদের বরাদ্দের অর্থের প্রায় ৩০ হাজার টাকা ব্যয় ২ হাজার তৃতীয় শ্রেণীর ইট দিয়ে দেওয়াল নির্মাণ কাজ করে পূর্বে দেওয়ালে পরিষদের প্রকল্পের নেমপ্লেট ব্যবহার করে প্রায় ১ লক্ষ ৪৭ হাজার টাকা আতœসাত করেছে প্রজেক্ট সভাপতি জাহাঙ্গির আলম, মোঃ বাদশা ও এনামুল ইসলাম।

এছাড়া কমিটির মেয়াদ উত্তির্ণ হওয়া শর্তেও অবৈধ ভাবে কমিটির কার্যক্রম অব্যাহত রাখেন।

কান্তমনি এলাকার কবাদ আলী তিনি বলেন, আমাদের চাঁদার টাকা দিয়ে ঈদগাহ মাঠের দেওয়ালের কাজ করা হয়েছিল এরা প্রকল্পের টাকা সম্পূর্ণ আত্মসাত করেছে।

বোদা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য তিনি জানান এলাকা লোকজন গণনা করেছে ২ হাজার ইটের কাজ হয়েছে বাকি টাকা কোথায় গেল।

অফিস সূত্রে জানা যায়, বোদা উপজেলার সদর ইউনিয়নের কান্তমনি ঈদগাহ মাঠ সংস্কার কাজের আয়কর ও ভ্যাট বাদ দিয়ে সমস্ত অর্থ প্রজেক্ট সভাপতি জাহাঙ্গির আলম গত সেপ্টেম্বর ও ডিসেম্বর ২১ অর্থ বছরে টাকা উত্তোলন করেন।
এব্যাপারে জেলা পরিষদ নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবুল আলীম খান ওয়ারেশী তিনি বলেন ঘঁনা স্থলে পরিদর্শন করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।