তেঁতুলিয়ায় নির্মাণের আট মাসের মাথায় ভেঙ্গে পড়ল কালভার্ট

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার দেবনগড় ইউনিয়নের নন্দগছ এলাকায় লোকাল গভর্ন্যান্স সাপোর্ট প্রজেক্ট-৩ (এলজিএসপি-৩) নির্মাণের একটি বক্স কালভাট আট মাসের মাথায় ভেঙে পড়েছে। গত মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) কালভার্ট ভেঙে যাওয়ার এই ঘটনাটি ঘটে। বর্তমানে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে গ্রামের বাসিন্দা। তড়িঘড়ি করে নি¤œমানের সামগ্রী দিয়ে যেনতেনভাবে কালভার্টটি নির্মাণ করার কারণেই ভেঙ্গে গেছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছে।

জানা যায়, এলজিএসপি-৩ প্রকল্পের আওতায় ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের ইউপি উন্নয়ন সহায়তা তহবিল (পিবিজি)’র ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা ব্যয়ে গত সালের জুলাই মাসের দিকে এই কালভার্ট নির্মাণ করা হয়। স্কিমের নাম দেওয়া হয় নন্দগছ মফিজুলের দোকানের পূর্ব পার্শ্বে কালভার্ট নির্মাণ।

এলাকাবাসী জানান, সাত মাস আগে উপজেলার দেবনগড় ইউনিয়নের নন্দগছ সীমান্তবর্তী গ্রামের রাস্তায় এই কালভার্টটি নির্মাণ করা হয়। বর্ষায় এটির নিচ দিয়ে দুপাশের মাঠের পানি প্রবাহিত হয়। আর সারা বছরই কালভার্টটির ওপর দিয়ে যাতায়াত করে আশপাশের মানুষ। গত বছরের বর্ষায় পুরোনো কালভার্টটি ভেঙে গেলে ওই কালভার্টের বেইজ ¯øাবকে কাজে লাগিয়ে এই কালভার্টটি নির্র্মাণ করা হয়েছে। নতুন এই কালভার্টে পুরোনো কালভার্টের ইটকে কাজে লাগানোর কথাও জানতে পারা গেছে।

এদিকে সরেজমিনে গিয়ে ওই ইউনিয়নের এলজিএসপির কয়েকটি স্কিমের নির্মিত কাজের খোঁজখবর নিয়ে ও স্থির চিত্রে জানা যায়, নির্মিত ইউ ড্রেইন ও কালভার্ট এস্টিমেট বা সিডিউল অনুযায়ী নির্মাণ করা হয়নি এবং নির্মাণ সামগ্রীতে ইটের মান ব্যবহৃত হয়েছে নি¤œ মানের। এরমধ্যে ইউনিয়নের সুরিগছ এলাকায় নির্মিত কালভার্টে সাড়ে ৪ফুট এর স্থলে প্রস্থ করা হয়েছে সাড়ে ৩ফুট। এছাড়া অন্যান্য স্কিমের কথা তো রয়েই গেছে।

স্কিমের ওয়ার্ড সভাপতি আইবুল হক মুঠোফোনে বলেন, ‘ইট বোঝায় একটি ট্রাক কালভার্টের উপর দিয়ে যাওয়ায় ভেঙে গেছে। ভেঙে দেওয়া ইটের গাড়ীটিতে আটকিয়ে রাখলেন না কেন? এমন জিজ্ঞাসায় তিনি বলেন, গাড়ির ইটগুলো ওখানকার প্রতিবেশি নিজস্ব দোকানদারের ছিল তাই আটকিয়ে রাখা হয়নি। পিকআপ যাওয়ার কারণে কালভার্ট ভোঙে গিয়েছে জিজ্ঞাসায় তিনি বলেন, আমাকে তো ভাই এভাবে বলে বুঝাতে হবে।’

অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত দেবনগড় ইউনিয়ন পরিষদ সচিব আশুতোষ সরকার মুঠোফোনে বলেন, তিনি এ বিষয়ে কোনো কিছুই বলতে পারছেননা, অফিস খোলার দিন অফিসে এসেই বিষয়টি দেখবেন।

ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ছলেমান আলী বলেন, ‘তিনি তার পরিষদের সদস্যদের মাঝে কাজের স্কিম গুলো বন্টন করে দিয়েছেন। কিছু স্কিমের কাজের অনিয়ম জিজ্ঞাসায় তিনি বলেন, কোনটি কি পরিমাপের এস্টিমেট না দেখলে বলা যাচ্ছেনা। তবে সাত মাস আগে ভেঙে যাওয়া ওই কালভার্ট যখন নির্মাণ কাজ চলছিল ওই সময় তিনি টপ ¯øাব ঢালাইয়ের দিন সেখানে গেছেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফজলে রাব্বি বলেন, তিনি এ বিষয়ে অবগত নন। জানতে পেরে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা তিনি জানিয়েছেন।