রংপুরের মিঠাপুকুরে দোকানির স্বপ্ন পুড়ে ছাই

রংপুরের মিঠাপুকুরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে চার দোকানির স্বপ্ন পুড়ে ছাই হয়েছে। শনিবার (১৯ আগস্ট) রাত ৩টার দিকে উপজেলার বড়বালা ইউনিয়নের কেশবপুর বাজারে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তবে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়েছে।

জানা গেছে, বেলাল কসমেটিক্স আরিফুল ভ্যারাইটিস স্টোর ও মামুন কম্পিউটারের দোকানসহ মোট চারটি দোকানে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় এলাকাবাসী মিঠাপুকুর ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ফায়ার সার্ভিস। এর আগেই এলাকাবাসীর সহায়তায় আগুন অনেকাংশেই নেভানো হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট দীর্ঘ আঁধা ঘণ্টার চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। ততক্ষণে চারটি দোকানের সবকিছুই পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

এ ঘটনায় বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন কেশবপুর বাজারের মৃত শফিকুল ইসলামের ছেলে হাফেজ বেলাল হোসাইনের।তার রেফ্রিজারেটর,টিভি,প্রসাধনী ও ভ্যারাইটি স্টোরের দুটি দোকানে প্রায় ৮ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। এবং আরিফুল স্টোর ও মামুন কম্পিউটারের পিসি কম্পিউটার ও টিভি ফ্রিজসহ দোকানের প্রায় তিন লক্ষ টাকার মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শী কামরু মিয়া বলেন, আমি এই বাজারে হোটেলে কাজ করি। প্রতিদিনের ন্যায় সমস্ত কাজ শেষ করে ঘুমাতে যাচ্ছিলাম হঠাৎ কি রকম যেন আওয়াজ শুনতে পেলাম আমার পাশেই বেলালের দোকান এসে দেখি আগুন লেগেছে। পরে সবাইকে ডাকাডাকি ও এলাকাবাসীর সহায়তায় আগুন নেভানোর চেষ্টা করি।

বেলাল হোসাইনের খালু আমিরুল ইসলাম বলেন, সে ছোট বেলায় বাবাকে হারিয়েছে এতিম একটা ছেলে। তাঁর স্বামীহারা মা ঢাকায় একটি গার্মেন্টসে কাজ করেন। তার মায়ের যেটুকু জমানো টাকা ছিলো তা এবং বিভিন্ন ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে বাজারে কসমেটিক্স ও মুদিখানার দোকান দেয়। অসহায় ছেলেটার হঠাৎ এরকম ভাবে সব শেষ হয়ে গেল।

মিঠাপুকুর ফায়ার স্টেশন ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর মোঃ রবিউল ইসলাম বলেন,আমরা খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছাই এবং আমাদের দুটি ইউনিটের প্রায় আধা ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের কারণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।