রংপুরে গলায় ফাঁস দিয়ে নারীর আত্বহত্যা

রংপুর মহানগরীর মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানাধীন ২৭ নং ওয়ার্ডের পীরপুরে ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে এক নারীর আত্বহত্যার অভিযোগ উঠেছে।

সরেজমিনে জানা যায়, কোতয়ালী থানাধীন ২৭ নং ওয়ার্ডের মুসলিম পাড়া এলাকার গোলাম মোস্তফা বাটুয়ার ছেলে গত সিটি নির্বাচনের কাউন্সিলর পদপ্রার্থী গোলাম মোস্তফা হীড়ার ২য় স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তৃপ্তি (৩০)। বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল অনুমান ১১ টা হতে সাড়ে ১১টার দিকে পীরপুরস্থ ভাড়া বাসায় (মালিক মোঃ আলমগীর হোসেন) গলায় ওড়না পেঁচিয়ে সিলিং ফ্যানের সহিত গিট দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রার্থমিক ভাবে জানা যায়।

মৃতার স্বামী হীরা আত্মহত্যা দাবি করে বলেন, তাজহাট আনছারী মোড়ের ফিরোজ আহমেদ (পিতা), মৃত- জোবেদা বেগম (মাতা) এর মেয়ে তাহমিনা আক্তার তৃপ্তি। গতরাতে এক সাথে থেকে সকাল অনুমান সাড়ে ৯টার দিকে আমি ব্যবসায়িক কাজে বাসা থেকে বের হয়ে যাই। পরে তৃপ্তির মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে না পেয়ে তার জন্য নাস্তা নিয়ে সাড়ে ১২টার দিকে বাসায় এসে দেখি বাসার মূল গেট বন্ধ ও রুমের দরজা খোলা আছে। পরে (রায়হান) অন্যের সহযোগীতায় দরজা খুলে রুমে দেখি তৃপ্তি ফ্যানের মধ্যে ঝুলে আছে। কি করবো বুঝতে না পেরে আশপাশের সকলের সহযোগীতা চাই ও প্রশাসনকে খবর দেই। তার সাথে আমার কোন ঝগড়া বিবাদ হয়নি। তার আগের স্বামীর (মাহবুবুর রহমান) সাথে কথা হয়েছে কিনা জানি না। তাদের আগের ঘরে দুটি বাচ্চা রয়েছে। আমাদের গত দুই মাস আগে বিয়ে হয়েছে আগে সেনপাড়ায় ছিলাম এখন কয়েকদিন আগে পীরপুরের এই বাসায় উঠেছি।

জানতে চাইলে তৃপ্তির বড় বোন মুন্নী ও বড় ভাই সামিউল ইসলাম তুহিন বলেন, তৃপ্তি ২য় বিয়ের পর তার সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক ছিলো না। আজ প্রথম তাদের বাসায় আসলাম। সেটাও আবার আপনাদের মতো জানতে পেরে। এসে আপনারা যা দেখলেন তাই আমরাও দেখলাম। আগের বাচ্চার কথা জানতে চাইলে বলেন, বাচ্চা দুটি আগের স্বামীর কাছে আছে। এখন যোগাযোগ আছে কিনা জানিনা। তৃপ্তির বর্তমান সংসারের ব্যপারেও কিছু জানিনা। আগের স্বামী মাহবুবুর রহমানের সাথে অনেকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

২১,২৬,২৭ নং ওয়ার্ড সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর মনোয়ারা সুলতানা মলি বলেন, আমার বাসার পাশেই ঘটনা, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনা স্থলে যাই। গিয়ে দেখি ফ্যানের মধ্যে ঝুলে আছে। বাকি কিছু বলতে পারিনা। সকলে যা দেখছে তাই।

মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানার তদন্ত কর্মকর্তা শাহ আলম বলেন, সংবাদ পেয়ে এসআই বিজন সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। তথ্য নিয়ে সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এ ব্যপারে মেডিকেল রিপোর্ট ও তদন্ত না করে কোন কিছু বলা সম্ভব নয়।