পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রী ৯ জন, শিক্ষক-কর্মচারী ১৫ জন

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার তুষখালী ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসায় ছাত্র-ছাত্রীর চেয়ে শিক্ষক-কর্মচারী বেশি পাওয়া গেছে।মাদ্রাসাটিতে ছাত্র-ছাত্রী ৯ জন হলেও শিক্ষক – কর্মচারী রয়েছে ১৫ জন।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাদ্রাসাটিতে কোন সাইনবোর্ড নেই।সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে ম্যানেজিং কমিটির লোকজন এবং শিক্ষক – কর্মচারীরা উপস্হিত হন।এ সময় শ্রেনী কক্ষে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়,দাখিল ৯ম শ্রেনীতে ৩ জন,৬ষ্ঠ শ্রেনীতে ২ জন,৪র্থ শ্রেনীতে ১ জন এবং ৮ম শ্রেনীতে ৩ জন শিক্ষার্থীর দেখা মেলে।উপস্থিত এসব শিক্ষার্থীদের কেউই বাংলা এবং ইংরেজি রিডিং পড়তে পারেনি। দাখিল দশম ,৭ম,৫ম এবং ৩য় শ্রেনীতে কোন শিক্ষার্থী পাওয়া যায়নি। মাদ্রাসাটির সুপার আবু সালেহ’র দাবি,করোনা ভাইরাসের পরে ছাত্র-ছাত্রী কমে গেছে, এরপর আর বাড়েনি।

মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ সেলিম মিয়া জানান,ছাত্র-ছাত্রী বাড়ানোর জন্য আমাদের চেষ্টা আছে। প্রতিপক্ষরা সাংবাদিকদের টাকা পয়সা দিয়ে মাদ্রাসার বিরুদ্ধে নিউজ করাতে চায়।

কামাল নামে একজন শিক্ষক জানান,আমিও সাংবাদিক। আপনারা সুপারের (সুপারিন্টেন্ডেন্ট) অনুমতি ছাড়া ক্লাসে গেছেন কেন?আমাদের মাদ্রাসা দেখার লোক আছে। আপনারা কারা?আমাদের মাদ্রাসায় কেউ পাস করুক আর না করুক আপনাদের দেখতে হবে না। ছাত্র-ছাত্রী না থাকলেও আমাদের মাদ্রাসা চলবে।

মঠবাড়িয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার অলি আহাদ জানান,মাদ্রাসা অধিদপ্তর থেকে ইতোমধ্যে অনানুষ্ঠানিকভাবে ভিজিট করা হয়েছে। মাদ্রাসাটিতে অনেক অসঙ্গতি রয়েছে। আমি অবগত আছি।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান হাওলাদার জানান,আমি এ বিষয়ে অবগত আছি।কিন্তু মাদ্রাসা অধিদপ্তর থেকে যথাযথ কোন ব্যবস্থা না নিলে আমরা কি করতে পারি।

মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ পরিচালক (প্রশাসন) মোঃ জাকির হোসাইন জানান,মাদ্রাসাটিতে এ বছর দাখিল পরীক্ষায় ২০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৪ জন পাস করেছে। এজন্য খুব শীঘ্রই শোকজ করা হবে।

এ ব্যাপারে মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল কাইয়ুমকে একাধিকার ফোন দিয়েও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।