পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় বিদ্যালয় মেরামতের টাকা আত্মসাৎতের অভিযোগ
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার ১০৭ নং হলতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষুদ্র মেরামতের টাকা প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির পকেটে বলে অভিযোগ উঠেছে।
নতুন ভবনের এ বিদ্যালয়টির ছাঁদ মেরামতের নামে ভুয়া বিল ভাউচার তৈরি করে বরাদ্দের সিংহভাগ টাকাই আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা খাদিজা পারভিন এবং ৩ জন সহকারি শিক্ষিকা অনুপস্থিত। শুধুমাত্র সহকারি শিক্ষক তাপস মিত্র উপস্থিত। কোন পাঠদান নেই। ক্লাস চলাকালীন সময়ে ছুটাছুটি করতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের।
উপস্থিত শিক্ষক তাপস মিত্র জানান, প্রধান শিক্ষিকা গুলিশাখালী বই আনতে গিয়েছেন। সহকারি শিক্ষিকা নওশেদ বেগম বাড়িতে গেছেন। আর অনুপস্থিত দুইজনের মধ্যে একজন উপজেলা রিসোর্স সেন্টারে গনিত প্রশিক্ষনে আরেকজন ছুটিতে আছেন। তবে ছুটির দরখাস্তটি কোথায় আছে তা জানেন না তাপস মিত্র।
উপজেলা সহকারি শিক্ষা অফিসার এবং বিদ্যালয়টির ক্লাস্টার অফিসার ইউনুস আলী জানান, প্রধান শিক্ষিকা আমার কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে বিদ্যালয় ত্যাগ করেছেন। তবে বিদ্যালয়ে মাত্র একজন শিক্ষক উপস্থিত থাকার কথা শুনে নিজেই বিস্মিত হন তিনি।
বিদ্যালয়টিতে ২০২০ সালের নতুন ভবন মেরামতের জন্য ২০২১-২২ অর্থ বছরে ২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।বরাদ্দের সিকিভাগ টাকা ব্যয় করার কাজও দৃশ্যমান নেই।
প্রধান শিক্ষিকা খাদিজা বেগম জানান,অফিসিয়াল কাজে ১২ টার দিকে মঠবাড়িয়ায় গিয়েছিলাম। আর বিদ্যালয়ে ২ লক্ষ টাকা ক্ষুদ্র মেরামতের কাজ আংশিক বাকি আছে। তবে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শাহিন হাওলাদার জানান, মেরামতে কাজ শতভাগ সম্পন্ন হয়েছে। বিদ্যালয়ে শিক্ষকরা উপস্থিত থাকে না কেন এ ব্যাপারে কিছুই বলেননি সভাপতি।
এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ রুহুল আমিনকে একাধিকবার ফোন দিয়েও কথা বলা সম্ভব হয়নি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন