চুয়াডাঙ্গায় পিতাকে গলা ও পুরুষাঙ্গ কেটে হত্যা করলো মেয়ে

মানুষ হত্যা মহা পাপ। যা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কোনো ধর্মই তা সমর্থন করে না। এদিকে ধর্মীয়ভাবে সবচেয়ে বড় ধর্ম ইসলাম ধর্মেও রয়েছে কঠিন শাস্তির বিধান। তা জানা সত্বেও সমাজে খুন খারাপির ঘটনা ঘটেই চলেছে।

এছাড়াও সমাজের বিভিন্ন অপরাধের অন্যতম কারণ হিসেবে মানুষের মধ্যে জনসচেতনতার ঘাটতি আইনের সঠিক প্রয়োগ ও বিচারে উদাসীনতা অবেহলা আর নিজ নিজ স্বার্থ হাসিলে অর্থ বাণিজ্যের কারণেই অহরহ খুন জখমের ঘটনা অব্যহতই রয়েছে। তারই অংশ হিসেবে মতিয়ার রহমানকে (৫০) গলা কেটে হত্যা করেছে কন্যা ময়না খাতুন।

শনিবার (২৬ আগস্ট) চুয়াডাঙ্গা জীবনগরের দেহাটি গ্রামের নিজ বাড়িতে ঘুমন্ত অবস্থায় তাঁকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় হত্যাকারী কন্যা ময়না খাতুন ও স্ত্রীকে আটক করেছে জীবননগর থানা পুলিশ।

এদিকে, বাবা মতিয়ার রহমান প্রতিনিয়ত হত্যাকারী কন্যা ময়না খাতুনকে কুপ্রস্তাব দিতো বলে খুন করেছে বলে স্বীকার করেছেন তিনি।

নিহত মতিয়ার রহমান জীবননগর উপজেলার কেডিকে ইউনিয়নের দেহাটি গ্রামের হঠাৎপাড়ার মৃত গোলাম হোসেনের ছেলে।

তিনি জেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ভাংড়ি মালামাল কিনে দেহাটী বাজারে ভাংড়ি কেনাবেচা করতেন। তিনি দেহাটী মাঠপাড়ায় স্ত্রী, মেয়ে ময়না খাতুন ও দুই নাতনিকে নিয়ে বসবাস করতেন।

বাবাকে হত্যার কথা স্বীকার করে মেয়ে ময়না বলেন, আমার আব্বা আমাকে কুপ্রস্তাব দেয়ায় আমি তাকে ঘুমের মধ্যে ছুরি দিয়ে গলা কেটে পরে তার গোপন অঙ্গ কেটে হত্যা করি।

তবে কেডিকে ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মজিবার রহমান জানান, মতিয়ার রহমান খুবই ভালো মানুষ ছিলেন। এই ঘটনায় মা ও মেয়ে মিলে কিজন্য গলা কেটে হত্যা করেছে তা বুঝতে পারছি না। এই হত্যার পিছনে অন্য কোনো ঘটনা আছে কীনা তা পুলিশ তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে।

জীবনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম জাবীদ হাসান জানান, এই ঘটনায় নিহতের স্ত্রী তাসলিমা খাতুন ও মেয়ে ময়নাকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য থানায় নিয়ে আসে জীবনগর থানা পুলিশ। প্রাথমিকভাবে মেয়ে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে।

লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এই বিষয়ে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।