চুয়াডাঙ্গায় বিএনপির ৪ নেতা আটক; ৫টি ককটেল উদ্ধার

চুয়াডাঙ্গায় বিএনপির ৪ নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল থেকে রোবাবর (০৪ ডিসেম্বর) সকাল পর্যন্ত জেলার বিভিন্নস্থান থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।

সেসময় তাদের কাছ থেকে পাঁচটি ককটেল ও বিস্ফোরিত ককটেলের অংশবিশেষ উদ্ধার করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, নাশকতার পরিকল্পনাকালে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের চার নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

আটককৃতরা হলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও আলমডাঙ্গার চিৎলা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল সালাম বিপ্লব, সদরের আলুকদিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আক্তারুজ্জামান, আলুকদিয়া ইউনিয়ন বিএনপির গ্রাম বিষয়ক সম্পাদক আশাদুল ইসলাম ও চুয়াডাঙ্গা পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব মাজেদুল ইসলাম মেহেদী।

এ বিষয়ে অভিযোগ সূত্রে চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবদলের সভাপতি শরিফুজ্জামান সিজার বলেন, চুয়াডাঙ্গায় আমাদের কোনো বিক্ষোভ সমাবেশ নেই। আমাদের কাছে ঢাকায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে যাওয়ার দিক নির্দেশনাও এখনও আসেনি। এরই মাঝে হঠাৎ করেই আমাদের নেতাকর্মীদের আটক শুরু করেছে পুলিশ। রাতে আমার বাড়িতে পুলিশ এসেছিল। সব মামলায় আমরা জামিনে আছি।

তিনি আরও বলেন, আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় বিএনপির সমাবেশে কেউ যাতে অংশগ্রহণ করতে না পারে সেজন্য সরকার বাধা তৈরি করে কৌশলী হয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে মামলা দিয়ে জেলে রাখতে চায়। আমরা আগে থেকেই শুনছি বিভিন্নস্থানে পটকা ফুটিয়ে আমাদের নামে দোষারোপ করছে পুলিশ। আটক নেতাকর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি দাবি করছি।

চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব শরিফুজ্জামান শরীফ বলেন, শনিবার মধ্যরাতে পুলিশ জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদকসহ বিএনপির ৪ নেতাকর্মী আটক করেছে। থানাতে খোঁজ নিয়ে দেখেছি তাদের নামে কোনো মামলা নেই। পুলিশ বাদী হয়ে গায়েবি মামলা দেয়ার চেষ্টা করছে বলে শুনছি। এই গণ গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে ওই চার নেতার মুক্তি দাবি করছি।

চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল মামুন জানান, গ্রেফতার করা চার বিএনপি নেতাকর্মীর নামে নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনে মামলা করা হয়েছে। আজ (০৪ ডিসেম্বর) রোববার দুপুরে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।