পঞ্চগড়ে নৌকার পক্ষে ছিলেন না ইউনিয়ন আ.লীগের নেতারা!

পঞ্চগড় জেলাধীন তেঁতুলিয়া উপজেলায় দ্বিতীয় ধাপে সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে ১১ নভেম্বর বৃহস্পতিবার। এর মধ্যে উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের নৌকার পক্ষে প্রার্থী আলহাজ্ব মোঃ শেখ কামালকে ওই ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের দু’একজন ব্যতিত কোনো নেতা কর্মীই পাশে থেকে তাকে সহযোগিতা করেননি, বলেছেন তিনি।

জানা যায়, উপজেলা সদর ও শালবাহান ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জিতেছেন। অপর পাঁচটিতে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীরা ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী এবং বিএনপি সমর্থক প্রার্থীদের কাছে ধরাশায়ী হয়েছেন।

আওামীলীগের মনোনীত নৌকা প্রার্থী, উপজেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও বুড়াবুড়ি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সদস্য আলহাজ্ব শেখ কামাল বলেন, গত মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) পঞ্চগড় জেলা ও উপজেলা আওয়ামীলীগের হ্যাভিওয়েট নেতাদের অভ্যর্থনা জানিয়ে এক জনসভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেদিন তাঁরা নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের পক্ষে সমাবেশে বক্তব্য দেন। প্রার্থীদের জয়লাভ নিশ্চিত করতে ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার নির্দেশনা দেন তাঁরা।

তিনি বলেন, মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন অত্র ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ আহবায়ক নজরুল মাস্টার, সাবেক সভাপতি মকছেদ আলী, মজিব উদ্দিন, তহিদুল ইসলামসহ যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীগণ প্রমূখ। সমাবেশে ইউনিয়নের দলীয় নেতা-কর্মীরা নৌকার পক্ষে কাজ করার প্রতিশ্রুতিও দেন। কিন্তু বাস্তবে নৌকার পক্ষে হাতেগোনা দু’একজন ছাড়া কেউ ছিলেন না। এই ইউনিয়নে নৌকার পক্ষে ছিলেন না দলের নেতা-কর্মীরা। নেতাদের অনেকে গোপনে দলীয় প্রার্থীদের বিপক্ষে কাজ করেছেন।

শেখ কামাল তিনি প্রেস ব্রিফিং এ বলেন- বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর ২০২১) ভোট গ্রহনের দিন ওই ইউনিয়নের প্রতিদ্বন্দ্বি স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী তার আপন বড় ভাই মোটরসাইকেল মার্কা প্রতীকের কামরুজ্জামান কামুর সঙ্গে সমর্থিত করেছে তার নামে একটি মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট গুজব ছড়ানো হয়েছে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা যুবলীগ সম্পাদক আক্তারুজ্জামান আক্তার, বুড়াবুড়ি ইউপি’র ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি শাকিল, জাহাঙ্গীর, আশির, মোস্তফা ও মোমিন।

শেখ কামাল প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে সাংবাদিকদের জানান, তিনি উপজেলার নিষ্ঠাবান সৎ ও যোগ্য আওয়ামীলীগ মনোনিত নৌকা প্রার্থীর মধ্যে একজন ছিলেন। তিনি হ্যাভিওয়েট আওয়ামীলীগ নেতাদের কাছে পছন্দনীয় হওয়ায় ওই ইউনিয়নের কতিপয় নেতা-কর্মীসহ বিদ্রোহী স্বতন্ত্র নেতা-কর্মীরা এই মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট গুজব ছড়িয়ে তাকে তার প্রাণের আস্তাভাজন আওয়ামীলীগ দলের মধ্যে গড়িমসির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে।

তিনি বলেন, তার বড় ভাই কামরুজ্জামান কামুর সঙ্গে সমর্থন করলে আগেই করতেন এখন কেন? পারিবারিক কলহের কারণে আগেও করেনি আর কস্মিন কালেও না।