পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় শিক্ষা অফিস থেকে বিদ্যালয়ের নতুন বই হস্তান্তর

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া শিক্ষা অফিস থেকে ক্লাস্টার ভিত্তিক নতুন বই হস্তান্তর করা হয়েছে।

রবিবার (১৪ অক্টোবর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সাফা, বেতমোর, গুলিশাখালী এবং মিরুখালী ক্লাস্টারের ৯৮টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২০২৪ সালের নতুন বই হস্তান্তর করা হয়ছে।

শিক্ষা অফিস থেকে জানা গেছে, নতুন বই সরক্ষন করার জন্য পর্যাপ্ত স্টোর রুম না থাকায় বইগুলো আগাম স্কুলে স্কুলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।নতুন বই নেওয়ার জন্য প্রত্যেক স্কুল থেকে প্রধান শিক্ষকের সাথে একজন সহকারী শিক্ষক এবং একজন দপ্তরী ডাকা হয়েছে।মঠবাড়িয়া মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের স্টোর রুম থেকে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক/সহকারী শিক্ষকদের হাতে বই পৌঁছানো হয়।

১৫৮ নং বেতমোর বটতলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) সুকুমার রায় জানান,বই আনার জন্য আমি একাই মঠবাড়িয়ায় গিয়েছি।৪ শ্রেনীর জন্য ৫৬ সেট বই এনেছি।আপাতত বাসায় এনে রেখেছি।আগামীকাল স্কুলে নিয়ে যাব।

১৪২ নং উত্তর রাজপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমান জানান,আজকের নতুন বই আনতে উপজেলা রিসোর্স সেন্টারে গিয়েছিলাম। তবে কত সেট বই পেয়েছি তা আমার সহকারী শিক্ষকের নিকট ডকুমেন্ট আছে।তার কাছ থেকে জানতে হবে।

১৭১ নং হাজারকুড়া সেনের টিকিকাটা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুভাষ চন্দ্র হাওলাদার জানান,৪ শ্রেনীর জন্য ৪৪ সেট বই এনেছি। দুই শ্রেনীর বই এখনও স্টোরে পৌঁছায়নি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কিছু বিদ্যালয়ে নিয়মিত ছাত্র ছাত্রীর তুলনায় ৩/৪ গুন বেশি বই নেওয়া হয়েছে। কাগজেকলমে প্রাপ্ত বই বিতরন দেখালেও বাস্তবে বাড়তি বইগুলো গোপনীয় জায়গায় ফেলে রাখা হয়।শিক্ষার্থী সংকট থাকা বিদ্যালয়গুলোতেও ৫০ এর বেশী শিক্ষার্থী দেখানো হয়। যেসব বিদ্যালয়ে সব ক্লাস মিলিয়ে ১৪/১৫ জন শিক্ষার্থী রয়েছে সেসব বিদ্যালয়ে ৫০ সেটের উপড়ে বই দেওয়া হয় কেন?এমন প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি ক্লাস্টার অফিসারগণ।

জেলা শিক্ষা অফিসার কুমারেশ চন্দ্র গাছি জানান, মঠবাড়িয়া উপজেলার স্টোর রুমে পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় চাহিদাকৃত বইয়ের আংশিক পাঠানো হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব স্কুলেই বই পৌঁছানো হবে।২য় ও ৩য় শ্রেনীর বই হাতে পেলেই যথাসময়ে তা উপজেলায় পাঠানো হবে।