চুয়াডাঙ্গায় বিএনপির ১০ দফা দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত

বিএনপি নেতা সেলিম ভূইয়া বলেছেন, আওয়ামীলীগের অধীনে বাংলাদেশে আর কোনো নির্বাচন হবে না। যখন আপনাদের অধীনে নির্বাচন হবে না তখন আপনাদের বুঝতে হবে যে, প্রত্যেকটি নির্বাচনী এলাকায় মনোনয়ন দেয়ার জন্য কোনো লোক খুঁজে পাবেন না। কারণ আপনাদের নেতারা যারা নির্বাচন করবে তারা কানাডার বেগমপাড়ায় বাড়ি করেছে, তারা দুবাইয়ে বাড়ি করেছে, তারা মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম করেছে সুতারাং তারা পালিয়ে যাবে। দেশে থাকবে শুধু জনগণ।

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এবং বর্তমান সংসদ বিলুপ্ত করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নি:শর্ত মুক্তিসহ ১০ দফা দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচীতে এসব কথা বলেন তিনি।

শনিবার (১১ মার্চ) বেলা ১১টায় শহরতলী সাহিত্য পরিষদের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করে জেলা বিএনপি।
কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক সেলিম ভূইয়া মানববন্ধন কর্মসূচীতে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে তিনি আরও বলেন, নিত্যপণ্য জিনিসের দাম বর্তমানে অসহনীয় আকার ধারণ করছে, মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। এসব থেকে মুক্তি পেতে হলে এই সরকারকে আর সুযোগ না দিয়ে রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমে এ সরকারের পতন ঘটিয়ে আবার বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের সরকার প্রতিষ্ঠা করবো।

তিনি বলেন, এ সরকারের প্রধানমন্ত্রীকে আমরা বলতে চাই এখনো সময় আছে বেগম খালেদা জিয়াকে নি:শর্ত মুক্তি দিয়ে আপনারা একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দেন। আর আপনারা যে বন্ধ খুঁজে পাচ্ছেন না? বন্ধের রাস্তা তো আমরা বলে দিচ্ছি। বন্ধের জন্য আপনি আপনার সমস্ত অপকর্ম। আপনি বেগম খালেদা জিয়ার কাছে ক্ষমা চান। বেগম খালেদা জিয়া যদি আপনাকে মুক্ত করে দেন তাহলে আপনি মুক্ত হয়ে গেলেন। আপনার আর কোনো রকমের চিন্তা ভাবনা আছে আপনি দেশ ছেড়ে চলে যাবেন? আপনারা যদি ক্ষমতায় না থাকেন আপনার যে কি হবে সুতরাং আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়ার ওপর ছেড়ে দেন খালেদা যদি আপনাকে রক্ষা করেন তাহলে আপনি রক্ষা হবেন।

জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব শরীফুজ্জামান শরীফের পরিচালনায় কেন্দ্রীয় বিএনপির উপ- কোষাধ্যক্ষ ও জেলা বিএনপির আহবায়ক মাহমুদ হাসান বাবুর সভাপতিত্বে মানববন্ধন কর্মসূচীতে জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির ২নং সদস্য খন্দকার আব্দুল জব্বার সোনা কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন। সেসময় তিনি বক্তব্য শেষ করার পর গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে বিএনপির নেতাকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে।

ডা: ওয়াহিদ মাহমুদ রবীন বলেন, তিনি এই মুহূর্তে গুরুতর অসুস্থ। তবে বিএনপির এ কর্মসূচীকে ঘিরে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ব্যাপক নিরাপত্তার বেড়া দিয়ে ঘিরে রাখে পুলিশ।