চুয়াডাঙ্গাসহ ৫ জেলার চালক-শ্রমিকদের লাইসেন্স সহজীকরণের দাবিতে মানববন্ধন

চুয়াডাঙ্গায় ৫ জেলার পেশাদার বাস ট্রাকের চালক ও শ্রমিকদের সহজ পদ্ধতিতে লাইসেন্স নবায়নের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২০ মে) সকাল ১১টায় শহরের শহীদ হাসান চত্বরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে চুয়াডাঙ্গাসহ ৫ জেলার চালকরা জানায়, ১৫-২০ বছর গাড়ি চালানোর পর পূর্বের লাইসেন্সের সাথে বর্তমানে জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্ম তারিখের মিল না থাকায় অনেক পেশাদার চালক তাদের লাইসেন্স নবায়ন করতে পারছেন না। আটকে আছে পেশাদার গাড়ি চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন।

এছাড়াও মানববন্ধনে মেহেরপুর, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া ও মাগুরা জেলার ভুক্তভোগী চালক শ্রমিকরাসহ চুয়াডাঙ্গা জেলা বাস মিনিবাস সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি এম জেনারুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রিপন মন্ডলসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, যারা ৩০ বছর আগে চালক হিসেবে লাইসেন্স পেয়েছিলেন এখন তাদের জন্মতারিখ জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে মিল না থাকায় মহাজটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। ২৫/৩০ বছর আগে জাতীয় পরিচয়পত্র চালু না হওয়ায় হাজার হাজার লাইসেন্স নবায়ন স্থগিত রয়েছে। জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্মতারিখ অনুযায়ী এসব লাইসেন্স দ্রæত নবায়ন করতে হবে। তা না হলে প্রয়োজনে আরও বড় আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

মানবন্ধন থেকে জানা গেছে, যারা পেশাদার-চালক হিসেবে লাইসেন্স পেয়েছেন তাদেরকে ২৫/৩০ বছর আগে নিয়মানুযায়ী অষ্টম শ্রেণি পাশের সনদ ও নাগরিক সনদ জমা দিতে হয়েছে। এখন দেখা যাচ্ছে, বেশিরভাগ চালকের জাতীয় পরিচয়পত্রে উল্লেখ করা জন্ম তারিখের সঙ্গে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্ম তারিখের মিল পাওয়া যাচ্ছে না। একমাত্র জন্ম তারিখের মিল না থাকার কারণেই নবায়ন থেকে বঞ্চিত রয়েছে হাজার হাজার পেশাদার চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স।

চুয়াডাঙ্গা জেলা বাস মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রিপন মন্ডল জানান, ভোটার আইডি কার্ড অনুযায়ী ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্ম তারিখ সংশোধন, নবায়নের টাকা দ্রæত জমা নেয়া. নন স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্সের ক্ষেত্রে পূর্বের জমা করা টাকা কার্যকর করা, ড্রাইভিং লাইসেন্সের নথিভুক্ত ও ছাড়পত্রের কার্যক্রম দ্রুত কার্যকর করার দাবি মানববন্ধনে তুলে ধরা হয়।