চুয়াডাঙ্গার গিরিশনগরে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ ৪ ডাকাত গ্রেফতার

শীতের নির্জনতা ও কুয়াশাকে কাজে লাগিয়ে ডাকাত দল সোচ্চার হয়ে উঠছে চুয়াডাঙ্গায়। এদিকে, শহর এলাকায় আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা থাকায় ডাকাত দল বিস্তার ঘটাতে না পেরে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের দিকে তৎপরতা শুরু করছে ডাকাতদল।

ফলে পথচারীরা তাদের গ্যাড়াকলে পড়ে নগদ টাকা-পয়সাসহ বিভিন্ন মালামাল লুটের সম্ভাবনায় উজ্জীবিত রয়েছে। এরই অংশ হিসেবে দর্শনায় গিরিশনগরে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ৪ ডাকাতকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার (৯ জানুয়ারী) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে তাদেরকে আটক করে তিতুদহ ক্যাম্প পুলিশের সদস্যরা। সেসময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র।

আটককৃতরা হলো, দর্শনা থানার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের সড়াবাড়িয়া গ্রামের উত্তরপাড়ার মৃত মজিবর রহমানের ছেলে শাহাবুদ্দিন বদ্দি (৩৬), সিরাজ হোসেনের ছেলে আব্দুল মান্নান (২৫), আব্দুর রশিদের ছেলে ইমদাদুল হাসান (২৩), ও কাওছার আলীর ছেলে আব্দুল আলীম (২২)।

এ বিষয়ে পুলিশ জানিয়েছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, দর্শনার গিরিশনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠের পাশে পানির ট্যাংকের সামনে ডাকাতি করার উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে। সেসময় কয়েকজন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে তিতুদহ পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই এ এম আনোয়ারুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ৪ ডাকাত সদস্যকে আটক করতে সক্ষম হয়। সেসময় তাদের কাছ থেকে ১টি লম্বা লোহার দা, ৩টি কাঠের বাটযুক্ত হাসুয়া, ১টি কালো বাটযুক্ত লোহার তৈরি গ্রীল কার্টার, ১টি বাঁশের বাটযুক্ত লোহার হাতুড়ি, ১ টি প্লাস ও ১০ ফুট মাপের সাদা প্লাস্টিকের রশি।

এদিকে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) লুৎফুল কবীর জানান, তারা ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। সেসময় পুলিশের তড়িৎ অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় তাদেরকে। উদ্ধার করা হয় ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম। আটককৃত এবং পলাতক আসামীদের বিরুদ্ধে দর্শনা থানায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।

স্থানীয়দের অনেকেই জানায়, শীতের সময় প্রতিবারই ডাকাতের ঘটনা ঘটে। বিশেষ করে শীত মৌসুমে এসব অঞ্চলে নির্জনতা থাকায় এ ধরনের ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থেকেই যাবে। তাই এ অঞ্চলে পুলিশের টহল বাড়ানোর প্রয়োজন দেখা দিয়েছে।