পিরোজপুরের পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র উদ্বোধন করলেন মৎস্য ও প্রানিসম্পদ মন্ত্রী

বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসির) ১১ কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত পিরোজপুরের পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র উদ্বোধন করেছেন মৎস্য ও প্রানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী শ.ম. রেজাউল করিম।

শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) বেলা ১১টায় মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রটি উদ্বোধন করেন তিনি।

উদ্বোধন শেষে মন্ত্রী বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) কর্তৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মৎস্য ও প্রানিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং সামনে এগিয়ে যাবে। আজকে আমি আপনাদের একটি লিফলেট দিয়েছি লিফলেটের শিরোনাম হচ্ছে “ডিজিটাল বাংলাদেশের ধাপ পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে” কেন নৌকায় ভোট দিবেন? তার কিছু কারণ উল্লেখ করছি- নৌকায় ভোট দিলে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র হয়, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসলে বেকুটিয়া ব্রীজ হয়, বলেশ্বর ব্রীজ হয়, পদ্মা সেতু হয়, মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বাড়ে, বিধবারা ভাতা পায়, প্রতিবন্ধীরা ভাতা পায়, স্বামী পরিত্যক্তরা ভাতা পায়, দুস্থ অসহায় মানুষ ভাতা পায়, ১লা জানুয়ারি একসঙ্গে আমাদের বাচ্চারা ৩২কোটি বই বিনামূল্যে পায় শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে। আর রাস্তাঘাট, ব্রীজ, কালভার্ট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মন্দিরের উন্নয়ন হয়। সবই একজনের কারনে হয়। শেখ হাসিনার কারনে হয়।” তিনি ইন্দুরকানি বাসীকে উন্নয়নের স্বার্থে, শান্তির স্বার্থে নৌকা প্রতীকে ভোট দেয়ার অনুরোধ করেন।

বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসির) চেয়ারম্যান সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দরের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিট্রেট পিরোজপুর, মোহাম্মদ শফিউর রহমান পুলিশ সুপার পিরোজপুর, আহমেদ সাব্বির সাজ্জাদ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার পিরোজপুর সদর, আবির মোহাম্মদ হোসেন অফিসার ইনচার্জ পিরোজপুর সদর।

আরো উপস্থিত ছিলেন জেলে, আড়ৎদার, পাইকার, মৎস্য ট্রলারের মালিক, বাংলাদেশ আওমীলীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতারা।

পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রটি উদ্বোধনের ফলে জেলেদের ভোগান্তি লাঘব হবে। এখানে জেলে, আড়ৎদার, পাইকার, মৎস্য ট্রলারের মালিকসহ সকলেই মাছ ক্রয়-বিক্রয়ের সুযোগ পাবে।

২০১৭ সালে পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের স্থাপনা নির্মানের কাজ শুরু হয়ে ২০২১ সালে শেষ হয়। স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে মৎস্য আহরণ, সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বাজারজাতকরণের জন্য মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রটি নির্মান করা হয়। এটি চালু হবার ফলে সরকারের অন্তত কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হবে বলে মনে করছেন খাত-সংশ্লিষ্টরা।

এখানে নির্মান করা হয়েছে উন্নত মানের পন্টুন ও গ্যাংওয়ে। ওয়ার্কশন সেট, মাছ প্যাকেজিং করার জন্য প্যাকেজিং সেট, আড়ৎঘর ভবন, জেনারেটর কক্ষ, আইস প্লান্ট, আবাসিক ভবন, অফিস ভবন, ইন্সপেকশন রুম, স্যানিটেশন ও পয়োনিস্কাশনের জন্য আধুনিক সুযোগ-সুবিধা।

এলাকাবাসী মনে করছেন মৎস্য আড়ৎদার জেলে ও পাইকারদের হাকডাকে সরগরম হয়ে উঠবে পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রটি।