চুয়াডাঙ্গায় চিপসে বিষ মিশিয়ে মেয়েকে হত্যা

চুয়াডাঙ্গায় পরিকল্পিতভাবে শিশু মারিয়াকে বিষ খাইয়ে মৃত্যু ঘটিয়েছে তাঁরই বাবা। এমনই অভিযোগ উঠেছে শিশুটির পিতা শাকিলের বিরুদ্ধে।

এদিকে বুধবার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটির মৃত্যু হয়। পরে ময়নাতদন্ত শেষে বিকেলে নিহতের লাশ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়।

বুধবার (২৬ জুলাই) বাদ মাগরিব জানাজা শেষে দাফন কাজ সম্পন করা হয়। এ মৃত্যুর ঘটনায় মা রুশিয়া খাতুন বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় তার প্রাক্তন স্বামী শাকিলকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন।

জানাযায়, শাকিল দামুড়হুদা উপজেলার নতিপোতা ইউনিয়নের হোগলডাঙ্গা গ্রামের এলাকার জহুরুলের ছেলে।

এ ব্যাপারে ঘটনার বর্ণনা তুলে ধরে মৃত শিশুর মা রুশিয়া খাতুন বলেন, ‘গত চার বছর আগে আমার সঙ্গে আমার স্বামী শাকিলের বিয়ে বিচ্ছেদ হয়। কোর্টের মাধ্যমে মারিয়ার বাবা প্রতি মাসে মেয়ের ভরণপোষণের জন্য টাকা দিতেন।

গত ১৮ জুলাই মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে কোর্টে আসি। আমার প্রাক্তণ স্বামী শাকিল মেয়েকে চিপস খাওয়ানোর কথা বলে আমার কাছ থেকে নিয়ে একটি দোকানে যায়। কেনার পর কোর্ট বারান্দার একটু দূরে গিয়ে সে চিপসের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে মেয়েকে খাইয়ে দেন। পরপরই মারিয়া খাতুন বমি করতে করতে অসুস্থ হয়ে পড়ে। সেসময় স্থানীয়রা তাঁকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসে। সেসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে তাঁকে ভর্তি রাখেন।
এ বিষয়ে নিহতের নানী মাজেদা খাতুন বলেন, ‘ঘটনার দুই দিন পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল থেকে রাজশাহীতে নিয়ে যায়। গত (২০ জুলাই) বৃহস্পতিবারে চিকিৎসার খরচ বহন করতে না পেরে ফিরে এরে আবারও চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তি করার পর মারিয়া খাতুন মৃত্যুবরণ করেন।’

এ ঘটনায় নিহত শিশুর মা রুশিয়া খাতুন বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেইসাথে অভিযুক্ত পিতা শাকিলের বর্তমান স্ত্রী লিমাকে আটক করা হয়েছে বলে জানান ওসি মাহব্বুর রহমান।