চুয়াডাঙ্গায় তুচ্ছ ঘটনায় প্রতিবেশীর ধারালো অস্ত্রে যুবক নিহত

চুয়াডাঙ্গা জেলার সদর উপজেলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশী আপন হোসেন (১৮) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।

রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ফুলবাড়ি গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছে আপনের বাবা মোতালেব হোসেন।

এদিকে ঘটনার পর ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে হামলাকারী কালাম হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ।

নিহত আপন হোসেন ফুলবাড়ি গ্রামের মোতালেব হোসেনের ছেলে।

আটক কালাম (৪২) ওই গ্রামেরই বানাত উদ্দীনের ছেলে।

জানা গেছে, সদর উপজেলার ফুলবাড়ি গ্রামের মোতালেব হোসেন ও তার ছেলে আপন হোসেনের সাথে প্রতিবেশী আবুল কালামের বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে রোববার সন্ধ্যায় আবুল কালামের বাড়ির পাশ দিয়ে পানির নালা কাটার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাগবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে উভয়পক্ষে। পরে আবুল কালাম ও পরিবারের সদস্যরা আপনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। তাকে বাঁচাতে এলে তার বাবা মোতালেবকেও কুপিয়ে জখম করে তারা। তাদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক আপনকে মৃত ঘোষনা করেন।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মাহবুবুর রহমান জানান, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে হাসপাতালে ভর্তির পর মারা যায় আপন। আহত মোতালেবের অবস্থা শঙ্কামুক্ত নয়। তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু জিহাদ খান জানান, বেশ কিছুদিন অভিযুক্ত আবুল কালামের বাড়ি থেকে পানি এসে বাড়ির সামনের রাস্তায় চলাচলে অসুবিধার সৃষ্টি হচ্ছিল। প্রতিবেশী মোতালেব হোসেন বিষয়টি আবুল কালামকে বলতে গেলে কথা কাটাকাটির ঘটনা ঘটে। এতে কালাম বাড়ি থেকে ধারাল অস্ত্র এনে মোতালেবকে কোপাতে থাকে। এসময় আপন হোসেন বাবাকে উদ্ধার করতে গেলে তাকেও কোপায় কালাম। জখম বাবা-ছেলেকে উদ্ধার করে নেওয়া হয় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। তাদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। এর কিছুক্ষণের মধ্যে মারা যান আপন হোসেন।