পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় হতদরিদ্রের সম্পত্তি জবর দখলের পাঁয়তারা!

পঞ্চগড় জেলাধীন তেঁতুলিয়া উপজেলায় আদালতের আদেশকে তোয়াক্কা না করে হতদরিদ্রের পৈতৃক সম্পত্তি জবর দখলের পাঁয়তারা করছে প্রবাবশালী মহল, গাছ গাছলা কাটলেই মিথ্যা মামলার শিকার হইতে হয় অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।

সংবাদ সম্মেলনে জানা গেছে, ৩নং তেঁতুলিয়া ইউপির তেলীপাড়া গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে হামিদুল হক, মোমিনপাড়া গ্রামের আব্দুল মতিনের ছেলে আবুল হোসেন ভুক্তভোগী পরিবারকে মিথ্যা মামলায় স্বর্বশান্ত করার পাঁয়তারায় লিপ্ত রয়েছেন।

ভুক্তভোগী সাহেরা বেগম ওরফে টুনি জানান, পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়া থানাধীন তেঁতুলিয়া মৌজাস্থ জে.এল.নং-১০ এর এস.এ ১০৩ নং খতিয়ান ভুক্ত ২.৭৮একর জমির রেকর্ডীয় মালিক আবুল কালাম আট আনা হিস্যায় এবং আবদুল সুভান আট আনা হিস্যায়। এই খতিয়ানে আবুল কালাম তার বোনদেরকে বাদ দিয়ে নিজের নামে এস.এ রেকর্ডভুক্ত করায় বিজ্ঞ তেঁতুলিয়া সহকারী জজ আদালত, পঞ্চগড়ে তার বিরুদ্ধে গত ১ এপ্রিল ২০১৩ তারিখে ১৪/২০১৩ নং মামলা করেন। অত্র মামলার রায় ও ডিগ্রীতে বাদী পক্ষকে তাদের পৈতৃক প্রাপ্ত অংশ দেয়া হয়েছে।
অপরদিকে ভুক্তভোগী সাহেরা বেগম ওরফে টুনিসহ তার বোনদের উপর ৩নং তেঁতুলিয়া ইউপির তেলীপাড়া গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে হামিদুল হক কথিত এক দলিলের ভিত্তিতে মিথ্যা মামলা করে হয়রানি করছেন। ৫০ বছরেরও বেশি পৈতৃক ভোগদখলীয় জমিতে বাধা প্রদান করেন- গোলাম মোস্তফা, হামিদুল হক ও আবুল হোসেন।

তিনি আরো জানান, একাধিকবার ৩নং তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ দাখিল করলে বাধা প্রদানকারী ব্যক্তিগণ কোন কাগজপত্র উপস্থাপন করিতে না পারিলে সময়ের প্রার্থনা করেন এতে চেয়ারম্যান তাদেরকে উর্দ্ধতন আদালতে প্রতিকার পাইবার আশ্বাস প্রদান করেন।
তিনি আরোও জানান, ২০০৮ সাল থেকে ভোগদখলীয় বসত ভিটার জমিতে এস.এ ১০৩ নং খতিয়ানের ১৭৯১, ১৭৯২, ১৭৯৩, ১৭৯৪ নং দাগে বিরোধীয় হয়ে আসছে। যার ফলে তারা বেশ কয়েকবার তাদের পক্ষে রায় পেয়েছেন। সেই রায় অনেকের সহ্য না হওয়ায় বিভিন্ন মিথ্যা মামলা করে স্বর্বশান্ত করার পাঁয়তারা করছেন। তাদের বাড়ির গাছ গাছলা কিংবা বাঁশঝাড় কাটতে গেলেই গোলাম মোস্তফা, হামিদুল হক মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দিচ্ছেন।

সংশ্লীষ্ট প্রশাসনের নিকট দাবী, আমার বৈধ সম্মতি উদ্ধারপূর্বক সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। সেই সাথে মিথ্যা মামলার প্রতিকারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য বিচারীক বিভাগের জোর দাবী জানান ভুক্তভোগী সাহেরা বেগম ওরফে টুনি।

এ ব্যাপারে, বীরমুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম জানান, এই সম্পত্তি তারা পৈতৃক সূত্রে হকদার। তারা যে সম্পত্তি পৈতৃক সূত্রে পাবেন তাদেরকে তা দিয়ে দেয়া হয়েছে। প্রায় ৫০ বছর ধরে সেই জমিতে বসবাস করে আসছেন। জমিটি বর্তমানে তাদের দখলে।
এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কাজী আনিছুর রহমান জানান, এই বিরোধটি প্রায় অনেক আগে থেকেই আমার কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ দেয়া হয়েছে। অতঃপর বিষয়টি এখতিয়ার বহির্ভুত হওয়ায় তিনি এ বিষয়ে বিজ্ঞ আদালতের সাহায্য নিতে বলেন।