চুয়াডাঙ্গায় শিশু মৃত‌্যু‌র দায় কার? পৌরসভা না ঠিকাদা‌রের

মান‌ু‌ষের ম‌ধ্যে থে‌কে দা‌য়িত্ব‌বোধটা বর্তমা‌নে অব‌হেলার ব‌্যা‌ধি আকা‌রে জন্ম নি‌য়ে‌ছে সমা‌জে। এটা সব পেশাদা‌রি‌ত্বের ম‌ধ্যে ছ‌ড়ি‌য়ে পড়ে‌ছে বিভিন্ন কর্মকা‌ণ্ডেই। যার ফ‌লে জন‌ভোগা‌ন্তিসহ প্রাণহা‌নির ঘটনা পর্যন্ত ঘ‌টে চ‌লে‌ছে প্রায়। অথচ এর দায়ভারের জবাবদায়িতা না থাকায় দিন দিন নিজ নিজ অ‌র্পিত দা‌য়িত্বে অব‌হেলার কো‌নো রকম কম‌তি নেই মানু‌ষের ম‌ধ্যে। এতে করে প্রায়ই ঘ‌টে চ‌লে‌ছে দুর্ঘটনা। তারই অংশ হি‌সে‌বে সামিয়া নামের সাড়ে তিন বছরের এক শিশুকন্যার করুণ মৃত্যু হয়েছে।
গত রাত নয়টার দি‌কে ঢাকনা‌বিহীন নির্মাণাধীন ড্রেনে পড়ে তাঁর মৃত‌্যু হয়।

জানা গে‌ছে, চ‌ুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা পৌরসভার নির্মাণাধীন ড্রেনে বুধবার সন্ধ্যায় শিশু সামিয়া কলেজপাড়ার সড়কে তার পিতার দোকানের সামনে খেলা করছিলো। সে একা খেলতে গিয়ে সবার অজান্তে বাড়ির সামনে পৌরসভার ঢাকনাবিহীন ড্রেনে পড়ে যায়। এ সময় তাকে অনেক খুঁজেও না পেয়ে পরিবারের লোকজন হতাশ হয়ে পড়েন। একপর্যায়ে রাত ৯ টার দিকে ড্রেনের পানিতে ছোট্ট সামিয়ার ভাসমান দেহ দেখতে পায় তার পরিবার। সা‌থে সা‌থে তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডে সড়কের পাশে নির্মাণ করা ড্রেনের ওপরে অধিকাংশ স্থানে দীর্ঘদিন ঢাকনা (স্ল্যাব) দেয়া হয়নি। আগেও ঢাকনাবিহীন এই ড্রেনের ওপর দিয়ে হাঁটতে গিয়ে অনেকেই নিচে পড়ে আহত হয়েছেন।
‌শিশু সামিয়ার মৃত্যুর খবরে তার পরিবারসহ এলাকার মানুষ পৌরসভার স্বেচ্ছাচা‌রিতার কারণে প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থার বিরুদ্ধেও কথা বলেন তারা।

ড্রেন নির্মাণ কাজের ঠিকাদার মোজাহিদুর রহমান জোয়ার্দ্দার লোটাস জানান, মেয়াদউত্তীর্ণ হওয়ার কারণে শতভাগ স্লাব দেয়া সম্ভব হয়নি। তবুও নির্মাণাধীন ড্রেনের শতভাগ স্লাব দেয়ার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তবে ড্রেনে পড়ে আর যেন কোনো প্রাণহানী না ঘটে এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হবে।