পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় নওমুসলিমের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনালে মামলা

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় নওমুসলিম সিয়াম হাওলাদার (ভূতপূর্ব নাম স্বরোচিস চন্দ্র হাওলাদার শিবু) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ভুক্তভোগী বাদী হয়ে ১৬ জানুয়ারী পিরোজপুর জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনালে মামলাটি দায়ের করেন।

বিজ্ঞ আদালত মামলাটি তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য মঠবাড়িয়া উপজেলার মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন।

মামলার একমাত্র বিবাদী সিয়াম হাওলাদার ১০নং হলতা গুলিশাখালী ইউনিয়নের গুলিশাখালী গ্রামের স্বপন কুমার হাওলাদার ও নন্দিতা রানী ঊর্মির পুত্র এবং ১০১নং মাথাভাঙা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, বিবাদী বাদীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিবাহের বাহানায় সনাতন হিন্দু ধর্ম পরিবর্তন করে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করে। গোপন প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিশ্বাস জন্মিয়ে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করে।

এরপর ভুক্তভোগী ওই তরুণী বিবাদীকে বিবাহের জন্য চাপ সৃষ্টি করে। এতে তরুণীকে ফুসলিয়ে বাগেরহাট নেওয়া হয়। সেখানে ২৮ অক্টোবর ১৪২৫/২১ নং এফিডেভিটের মাধ্যমে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করে স্বরোচিস চন্দ্র হাওলাদার শিবু নাম পরিবর্তন করে সিয়াম হাওলাদার নাম ধারন করে। পরদিন ২৯ অক্টোবর খুলনায় গিয়ে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের জনৈক কাজীর মাধ্যমে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক আনুষ্ঠানিকভাবে রেজিঃকৃত বিবাহ সম্পন্ন করে।

বিবাহের পর তারা ঢাকায় একটি ভাড়া বাসায় ওঠে। কিছুদিন ঘর সংসার করার পর বাদী ঔরসে গর্ভধারণ করে। সিয়াম হাওলাদার চাপ সৃষ্টি করে তাকে গর্ভপাত করতে বাধ্য করে।

৩ জানুয়ারী বিবাদী সিয়াম হাওলাদার বাদীকে ঢাকা থেকে নিয়ে এসে পিত্রালয়ে ফেলে রাখে। কোন প্রকার খোঁজ খবর ছাড়াই যাবতীয় খোরপোষ ও ভরনপোষণ দেওয়া হতে বিরত থাকে। একপর্যায়ে ১০ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবী করে।

এ ব্যাপারে নওমুসলিম সিয়াম হাওলাদারকে একাধিকবার ফোন দিয়েও পাওয়া যায় নি।